ডেঙ্গু জ্বর কী ?

আতঙ্কের আরেক নাম এখন ডেঙ্গু জ্বর। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসায় ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়।

ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত রোগ। একে ব্রেকবোন ফিভারও বলা হয়। এডিস প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মশা দ্বারা ডেঙ্গু পরিবাহিত হয়।

যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন নেই, মশার সংখ্যার অনুকুল পরিবেশ এবং মশার সংখ্যাবৃদ্ধির হ্রাস এবং মশা কামড়ের সম্ভাবনা কমানোর মাধ্যমে প্রতিরোধ প্রয়োজন।

✅ ডেঙ্গু ভাইরাসের পরিবহণঃ

ডেঙ্গু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশা দ্বারা পরিবাহিত হয়।

রক্তসম্বন্ধী সামগ্রী এবং অঙ্গদান এর মাধ্যমে ও ডেঙ্গু পরিবাহিত হতে পারে।

শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে রোগের প্রবণতা বেশী। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিপদ বেশি। যাদের ডায়াবেটিস এবং অ্যাজমা আছে তাদের জন্য ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে।

✅ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ

ডেঙ্গু ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার ৩-১৫ দিন পর সমস্যা দেখা যায়।

১. তীব্র জ্বর
২. তীব্র মাথাব্যথা
৩. চোখ ব্যথা
৪. তীব্র হাঁড়ের জয়েন্টে ও মাংসপেশীতে ব্যথা
৫. বমি বমি ভাব, বমি হওয়া
৬. দূর্বলতা
৭. র‌্যাশ (জ্বরের ২-১৫ দিন পরে দেখা যায়)
৮. রক্তপাত (নাক থেকে রক্তপড়া, দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপড়া)।

✅ জটিলতাঃ

ডেঙ্গু হেমোর‌্যাজিক ফিভার

এক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রা থাকে, যা আমাদের দেহের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে রক্তপাতের সূত্রপাত হয়।

লিভার বড় হয়ে যায় এবং আমাদের দেহের রক্তচলাচল পদ্ধতিকে নষ্ট করে দেয়। ফলে রোগীর প্রচুর রক্তপাত হয়। শক এবং মৃত্যুও হতে পারে। একে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বলা হয়।

✅ ডেঙ্গুর প্রকোপঃ

বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি থাকে। আশেপাশে ডোবা অথবা জলাবদ্ধ জায়গায় এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান।
এছাড়া অন্ধকার পরিবেশে মশার উপদ্রব বেশী।

✅ ডেঙ্গু হতে প্রতিকারঃ

১. মশারী ব্যবহার করতে হবে।

২. আশেপাশের ডোবা, খালি ফুলের টব এসব জিনিস এ জেনো পানি জমে না থাকে দেখতে হবে।

৩. ঘরে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখা উচিত।

৪. অতিরিক্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মশার ঔষধ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

👨‍⚕️ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।