রক্তদানের পরে করণীয়ঃ- (সময় নিয়ে পড়ুন প্লিজ)
১. রক্তদেয়ার পর কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট শুয়ে থাকা। সাথে সাথে ওঠে গেলে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২. বেড থেকে ওঠে বেশি বেশি ওরস্যালাইন মিক্সড করা পানি পান করা, এতে রক্তের জলীয় অংশের ঘাটতি পূরণ হবে।
৩. ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করলে ডোনার কার্ড নেয়া। হসপিটাল থেকে কোন প্রকার ডোনার কার্ড দেয়া হয়না। তবে রাতের বেলায় রক্তদান করলে তাদের থেকে একটি রিপোর্ট প্রিন্ট করে নিবেন প্লিজ। এরফলে পুলিশ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন।
৪. স্কিনিং টেষ্ট এর রিপোর্টের কপি নেয়া। এই রিপোর্টের কপি চেয়ে নিতে হবে।
৫. যে হাত থেকে রক্তদান করেছেন, কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা সে হাতে ভারী কোন কিছু না নেয়া। এতে ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬. যেদিন রক্তদান করবেন, সেদিন রাতে ঘুমানের সময় বিপরীত কাত হয়ে ঘুমানো। অর্থাৎ ডান হাত থেকে রক্ত দিলে বাম কাত হয়ে ঘুমানো, অথবা বাম হাত থেকে রক্ত দিলে ডান কাত হয়ে ঘুমানো উচিত। এতে হাতে রক্ত-সঞ্চালনে বাঁধা সৃষ্টি হবেনা।
৭. কমপক্ষে ২ দিন অতিরিক্ত বিশ্রাম নেয়া। এরফলে দূর্বলতা কেটে যাবে।
৮. হাতে কোন প্রকার ম্যাসাজ/মালিশ না করা। এরফলে ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৯. অনেক সময় দেখা যায়- সুই ঢোকানোর স্থানসহ আশে-আশে চামড়ার নিচের অংশ কালচে রং হয়ে যায়, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক-দুই দিন পর ঠিক হয়ে যাবে। কোন প্রকার মালিশ/ম্যাসাজ করবেননা প্লিজ।
১০. রক্তদানের কার্যক্রম বেশি বেশি প্রচার করা, এতে অন্যরা উৎসাহিত হবে।
১১. Whole Blood দিলে কমপক্ষে ৩-৪ মাস পর পুনরায় রক্তদান করা। অনেকেই আবেগের তারনায় ২ মাস পরও রক্ত দিয়ে দেয়। এরফলে নিজেরও ক্ষতি হবে এবং রোগীরও উপকার হবেনা। কারন- আপনার শরিরের পর্যাপ্ত পরিমানে হিমোগ্লোবিনের সৃষ্টি হয়নি। এভাবে নিয়ম মেনে রক্তদান না করলে আপনারই রক্ত-স্বল্পতা দেখা দিতে পারে এবং বেক-পেইন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১২. যেদিন রক্তদান করেছেন, সেই দিনের তারিখটি নোট করে রাখুন। এরফলে পরবর্তি রক্তদানের তারিখ কবে হবে তা বের করে নিতে পারবেন।
রক্তদানে কোন প্রকার ক্ষতি নেই। তবে নিয়ম মেনে রক্তদান না করলে ক্ষতি আছে। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো- নিয়মগুলো মেনে চলুন।
বিঃ দ্রঃ- পোষ্টটি শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করুন প্লিজ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন